আগামী বছর সেপ্টেম্বরের আগেই ভোটার তালিকা প্রণয়ণ, সীমানা পুনঃনির্ধারণ ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সুষ্ঠু নির্বাচন ও দুর্বৃত্তায়ন রোধে কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি চান সিইসি। তবে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

ভোটার তালিকা প্রণয়ণ, সীমানা পুনঃনির্ধারণ ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের পর নির্বাচনি তফসিল, কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি চান সিইসি।

বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাত মাসের মাথায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ২১ নভেম্বর গঠিত হয় নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতি পর্বের কাজ পুরোদমে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট আসার আগেই ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, সীমানা পুনঃনির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভুয়া ভোটার, নতুন ভোটার অর্ন্তভুক্তি ও সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে জটিলতা নিরসন করা কঠিন হবে বলে মানছেন সিইসি। একইসঙ্গে দল নিবন্ধনের জন্য যাচাই-বাছাইকেও চ্যালেঞ্জ মানছেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশা করেন, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিসি-এসপি নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, কারণ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান সিইসি।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটের আগেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে যত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তার সবই নেওয়া হবে।