সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : সিইসি

সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : সিইসি

সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই বর্তমান ইসির মূল লক্ষ্য। এ নির্বাচনে ভোটারদের বঞ্চনা ঘোচাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। আজ রবিবার (০৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।


আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তথ্য সংগ্রহের এ কাজে সবার সহযোগিতা চান সিইসি। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর পৌনে এক লাখ লোকবলকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
সিইসি বলেন, “ক্রিটিক্যাল টাইমে (ক্রান্তিকালীন) নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়েরই একটা নির্বাচন কমিশন।


দায়িত্ব ছাড়াও দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছেও বেশি, আমাদের কাছেও বেশি… ১৫টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। অতীতকে বদলে বর্তমান বিদ্যমান চাহিদার সাথে খাপ খায় এমন সংস্কার বা পুনর্গঠন হোক। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী আইন-কানুনে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি।

 

এ সময় পুরনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান সিইসি। সব সংস্কারের বড় সংস্কার নিজের আত্মাকে সংস্কার করা মন্তব্য করে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “মন-মগজ যদি সংস্কার না হয় আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের মন-মানসিকতায় সংস্কার আনতে হবে।”

১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের সংস্কার কাজের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সিইসি।

তিনি বলেন, “এবার তো আমাদের চারদিকে যে চিন্তাভাবনা দেখছি, যে প্রেসার, রিফর্মস মানে রিফর্মস প্রপোজাল নয়।


এগ্রিড প্রপোজালগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেখতে পাচ্ছি। সরকার চাচ্ছে, যেগুলোকে ঐকমত্যে হবে সেগুলো মোটামুটিভাবে অধিকাংশ বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য কাজ করছে। আমাদের এখানেও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রয়েছে। তারা যে সুপারিশ দেবে তাতেও আমাদের বিধি-বিধান আইন-কানুনে পরিবর্তন আনতে হবে।”

 

সিইসি বলেন, “ইতোমধ্যে দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে সবশেষ হালনাগাদে ২ জানুয়ারি ১৮ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে, একটা ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা এতদিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি- আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?”

সামনে নির্ভুল ভোটার তালিকার পাশাপাশি ও নির্বাচনে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিতের কথা তুলে ধরেন সিইসি।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। তারা আসবে আমাদের কাছে। তাদের এ বঞ্চনার দুঃখ বলার জন্য আমরা আছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি-ইনশাহআল্লাহ তাদের বঞ্চিতা যেন ঘোচাতে পারি। তারা যে বঞ্চিত হয়েছে, যে ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে সেটা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।”

এ অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনের সময়সূচি নির্ভর করছে জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর: ড. ইউনূস পরবর্তী

নির্বাচনের সময়সূচি নির্ভর করছে জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর: ড. ইউনূস

কমেন্ট