পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস

পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ৯ আসামিসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে হত্যাচেষ্টা মামলায় বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেছেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।

এর আগে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ৩০ জানুয়ারি রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

এই মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সবাই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী। 

প্রসঙ্গত, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও পালাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। 

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব পরবর্তী

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

কমেন্ট