বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চার আসামিকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখের মধ্যে প্রসিকিউশনকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রসিকিউসনের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। চার আসামি হলেন- পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী।

গত ১৩ জানুয়ারি শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই চার আসামিকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রাখা হয়েছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখাতে গত ২ মার্চ প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করে। সেদিন ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আবু সাঈদ হত্যায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে এবং তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে শুনানিতে ট্রাইব্যুনালকে জানায় প্রসিকিউশন। শুনানিতে ছিলেন, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

আদেশের পর প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেক ঘটনাই ঘটেছে।

এগুলো তদন্তে আসবে। এই মামলার সাথে সম্পৃক্ততা থাকলে তিনি আসামি হবেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক মামলায় একাধিক বিচার হতে কোনো বাধা নেই।’
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আশা করছি পরবর্তী ধার্য্য তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো। আগামী ১৫ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত বছর ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কোটা সংস্কার আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

 

বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে: প্রধান উপদেষ্টা পরবর্তী

বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে: প্রধান উপদেষ্টা

কমেন্ট