রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা আগামী মে মাসের মাঝামাঝিতে শেষ হবে: আলী রীয়াজ
অপরাধীরা প্রত্যেকে আইনের আওতায় আসবে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে ফেলা জুলাই-পরবর্তী সময়ে জুলাইকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল মন্তব্য করে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে ফেলার পেছনে সংঘবদ্ধ শক্তি কাজ করেছে। তাদের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান। যারাই এ ঘটনাটা ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেকে আইনের আওতায় আসবে এবং তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সিলেটের সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এসব কথা বলেন।
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার জবাব দিতে বৈশাখ ও চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এবারের চারুকলার শোভাযাত্রায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে। এটা ইউনিক ব্যাপার।’
তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সংবাদ সম্মেলন থেকে আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা সবাই শুধু বাঙালি নই, সব জাতিগোষ্ঠী আছে, আমরা সবাই এক হয়ে বর্ষবরণ উৎসব করতে চেয়েছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে।
এটা হয়তো অনেকের ভালো লাগবে না বা ভালো লাগছে না, বুঝতে পারছি। এটার উত্তর হচ্ছে, আমরা সবাই আরো বেশি বৈশাখের উৎসব এবং চৈত্রসংক্রান্তিতে যোগ দেব এবং যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ঐক্য দিয়ে আমরা তাদের পরাজিত করব।’
ঐক্য ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ায় বাধা দিতে এসব কর্মকাণ্ড মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা চায় না আমরা যে উৎসব মুখ বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছি, যে ঐক্যের এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি সেটাকে তারা বাধা দিতে চাচ্ছে।’
সম্মিলিত শক্তিকে থামানো যাবে না জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে আজকে যে ফুলনি উৎসব হয়েছে, যে শোভাযাত্রাগুলো হয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ এবং ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব নিয়ে তারা মিছিল করেছে।
সেটি দেখে বুঝতে পারলাম এটিকে থামিয়ে রাখা যাবে না।’
ফ্যাসিবাদের দোসর বলার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসর এই অর্থে বলছি তারাই চায় না এই ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব শোভাযাত্রায় থাকুক। নানা মতামত থাকতে পারে। কিন্তু যখনই সেটা পুড়িয়ে দিতে যায় তখনই বুঝতে হবে এর পেছনে একটা সংঘবদ্ধ শক্তি কাজ করছে। সেই শক্তির ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান।
পুলিশ কাজ করছে এবং দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
বাংলা বর্ষবরণের উৎসবে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের অনেক মিটিং হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমরা সভা করেছি। আরো কয়েকজন উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য যত বাহিনী আছে (পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, এমনকি গোয়েন্দা সংস্থা) সবাই কিন্তু কাজ করছে। আমি মনে করি না যে নিরাপত্তার বড় কোনো ঝুঁকি আছে।’
কমেন্ট