পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দুজনের পদত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরও যখন বিষয়টি সুরাহা হচ্ছিল না, তখন দুজনক পদত্যাগের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
এরপর তারা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী তাদের পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন করলে পদত্যাগ কার্যকর হবে।
এর আগে বুধবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
একই সঙ্গে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
মূলত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষ ও বহু শিক্ষার্থী হতাহতের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, সেই সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৩ এপ্রিল থেকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরদিন ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তার পর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
কমেন্ট