বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি
লিপবামেও ঠোঁট ফাটা কমছে না? ঘরোয়া উপায়ে সহজ সমাধান
শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় কমবেশি কে না ভোগেন। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে লিপজেল, লিপবামসহ কত উপাদানই না আমরা ব্যবহার করে থাকি। এতেও রক্ষা হয় না অনেক সময়।
ঠোঁটের ত্বক মুখের ত্বকের থেকেও পাতলা এবং বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে। তাই ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। যার কারণে ঠোঁট দ্রুত ফাটে।
একবার ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে, ঠোঁট ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি, রক্তপাত শুরু হয়, পাশাপাশি ঠোঁটে ব্যথাও হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই ঠোঁটে লিপবাম ও অন্যান্য ক্রিম লাগান কিন্তু তারপরও ঠোঁটের সমস্যা দূর হয় না।
শীতকালে যদি আপনার ঠোঁট ফাটে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি করে দেখতে পারেন। এই ঘরোয়া রেমিডির জন্য আপনার তেমন কোনো খরচও হবে না, সহজেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হবে। চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে—
ফাটা ঠোঁটের ঘরোয়া প্রতিকার
শীতকালে যদি আপনার ঠোঁটের ত্বক খুব শুষ্ক হয়, তাহলে তাতে মধু লাগান। ঠোঁটে মধু লাগালে শুষ্কতা কমে যায়। মধুতে ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট রয়েছে যা ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা আনে। মধু লাগালে ফাটা ঠোঁটের ব্যথা এবং শুষ্ক ঠোঁট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ঠোঁটে মধু লাগিয়ে ৫ মিনিট আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম জলে ঠোঁট পরিষ্কার করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এভাবে করলে ফাটা ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো নরম হয়ে যাবে।
নারকেল তেল
নারকেল তেল একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি শীতে ত্বক, চুল ও ঠোঁট নরম রাখে। নারকেল তেল এই সমস্যাগুলোর জন্য খুব উপকারী। নারকেল তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বককে পুষ্ট করে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। নারকেল তেল হালকা গরম করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের শুষ্কতা চলে যাবে।
শসার রস
মুখে শসার রস লাগানোর মতো ঠোঁটেও লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন শসা খেলে ত্বকেরও উপকার হবে। এছাড়া শসার রসে সামান্য মধু মিশিয়েও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিটের জন্য রেখে, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের ফাটা ভাব দূর হবে, ঠোঁট নরম ও গোলাপি হবে।
কমেন্ট