মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

প্রত্যেক বাড়িতেই কমবেশি মধু থাকেই। কাশি হোক কিংবা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা– মধুর বিকল্প নেই বলেই ভাবেন কেউ কেউ। তার ওপর আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মধুর গুণাগুণ নিয়ে প্রচারের শেষ নেই। আর তার ফলে মধুর চাহিদা যেন দিন দিন বাড়ছে।


মধু কার্যকরী সে বিষয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, মধু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রচার হয়– তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত। আর তা থেকেই ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

কেউ কেউ মনে করেন কৌটোজাত মধুর তুলনায় সদ্য মৌচাক থেকে পাওয়া মধুর গুণ অনেক বেশি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন শোনা যায় ঠিক। তবে গবেষণায় এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। সব ধরনের মধুরই অল্পবিস্তর গুণাগুণ রয়েছে।
অনেকেই ভাবেন মধু নাকি মৌসুমি অ্যালার্জি সারাতে পারে। আর তার জেরে হওয়া জ্বরের উপশম হিসেবেও মধুর কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, মধু মৌসুমি অ্যালার্জি সারাতে পারে এমন কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। এটি নিছকই ভ্রান্ত ধারণা।

 
অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।


তাই অনেকে চিনির বদলে মধু খাওয়ার কথা বলেন। কারো কারো ধারণা, মধু কোনো খাবারে দিলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যাবে। অথচ কোনো ক্ষতি হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি শরীরের ক্ষতি করে আর মধু করে না, সেরকম কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। তাই বেশি পরিমাণ চিনি খাওয়াও যেমন অনুচিত। তেমনই আবার অতিরিক্ত মধুও শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
দূষণের জেরে আমাদের শারীরিক নানা ক্ষতি হয়। অনেকেই মনে করেন শরীরে থাকা দূষিত টক্সিন বের করার ক্ষেত্রে মধুর নাকি ভূমিকা রয়েছে। তাই গরম চায়ে মধু মিশিয়ে খান অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে মধু মিশিয়ে পান করতেই পারেন। তবে তা শরীরকে টক্সিন মুক্ত করতে আদতে কতটা কাজে দেয় সে বিষয়ে কোনো তথ্য গবেষণায় পাওয়া যায়নি।

কেউ কেউ ভাবেন ক্ষত সারাতে সাহায্য করে মধু। বিশেষত কেটে যাওয়া কিংবা পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে মধু কাজে লাগানো যেতে পারে। আদৌ মধুকে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজে লাগানো যায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে খোদ বিশেষজ্ঞদের।

চুলের পড়ার সমস্যা শুধু ওষুধে নয় পরবর্তী

চুলের পড়ার সমস্যা শুধু ওষুধে নয়

কমেন্ট