শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়াও হতে পারে রোগের লক্ষণ

শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়াও হতে পারে রোগের লক্ষণ

ঘুম একটি প্রাকৃতিক, শারীরিক ও মানসিক প্রক্রিয়া, যা শরীর ও মনকে শিথিল করে এবং পুনরুদ্ধার করে। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীর তার শক্তি পূরণ করে, কোষ মেরামত করে এবং মস্তিষ্কে বিভিন্ন তথ্য প্রক্রিয়া করে। ঘুমের সময়, শরীর ও মস্তিষ্ক কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যেমন হৃদস্পন্দন ও স্বাসযন্ত্রের হার হ্রাস, পেশী শিথিল হওয়া এবং মস্তিষ্কে চিন্তা প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়া।

অনেকে আছেন যারা ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন।


আবার অনেকে আছেন যারা শোয়ার অনেক পরে ঘুমাতে পারেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যারা ঘুমাতে যাওয়ার ৫ মিনিট বা তারও কম সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন, তারা হয়তো কোনো না কোনো গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া ঘুমের অভাবের লক্ষণ হতে পারে, যা সম্ভবত খারাপ ঘুম বা ঘুমের অভাবের কারণে।

 
স্লিপ হেলথ ফাউন্ডেশন ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেয়।

যদিও এটা সবসময় সম্ভব নয়, কারণ প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না এবং ঘুম থেকে বঞ্চিত হন। নিয়মিত ঘুম হলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, বিষন্নতা, উদ্বেগ ও আলঝাইমারসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার ঘুমাতে কতক্ষণ সময় লাগে তার ওপর আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানা যায়। প্রকৃতপক্ষে ৫ মিনিটেরও কম সময়ে ঘুমিয়ে পড়া একটি গুরুতর ঝুঁকি হিসাবে দেখানো হয়েছে।

ঘুমিয়ে পড়ার স্বাস্থ্যকর পরিসর হল ৫ থেকে ২০ মিনিট।
খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়াও নারকোলেপসির মতো একটি মেডিক্যাল অবস্থার লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে যদি ঘুমিয়ে পড়তে আপনার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে, তবে এটি অনিদ্রার লক্ষণ হতে পারে।


ঘুমের অভাব বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। আপনি যদি সমস্যাটি চিহ্নিত করতে না পারেন, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি গুরুতর হতে পারে।

সেজন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে হবে।
যে কারণে ঘুম ব্যাহত হয়

আওয়াজ, ফোন, টিভি ও ট্যাবলেটের স্ক্রিনের আলো এবং বাইরে থেকে আসা আলোও অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যখন ঘুমানোর চেষ্টা করছেন, জীবনের এমন কিছু ঘটনার জন্য বিরক্ত বা চিন্তিত বোধ করতে পারেন, যা আপনার ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া মাদকাসক্তি, ধূমপান, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার মতো অভ্যাসও অনিদ্রার জন্য দায়ী হতে পারে।

ঘুম না আসলে কী করবেন

আপনার যদি সহজে ঘুমাতে সমস্যা হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা ভালো।

 

মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা পরবর্তী

মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

কমেন্ট