আড়িয়াল বিলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট হতে রক্ষায় চেকপোস্ট বসানো হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইউরিক এসিডকে দূরে রাখবে গরমের যেসব ফল
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ ইউরিক এসিডের সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগ থেকে রেহাই পান না তরুণ-তরুণীরাও। আর এই ব্যথা খুবই কষ্টদায়ক। একবার শুরু হলে সহজে কমতে চায় না।
এতে পায়ের গোড়ালি, হাঁটু, গাঁটে গাঁটে ব্যথা শুরু হয়।
শরীরের যেই অংশে ইউরিক এসিড দেখা দেয় সেই অংশ লাল হয়ে যায়, হাত-পা নাড়ানো কষ্টকর হয়ে যায়। তা ছাড়া বিছানা থেকে সকালবেলা পা নামিয়ে হাঁটাও কষ্টকর হয়ে যায়।
ইউরিক এসিডের ব্যথা হলে রেডমিট, ডালজাতীয় খাবার একদমই বন্ধ রাখতে হয়।
কারণ এই খাবারগুলো খেলে ব্যথা ক্রমশ বাড়তে পারে। আপনি যদি ইউরিক এসিডের ব্যথা দ্রুত কমাতে চান তাহলে গরমকালে অবশ্যই এই ফলগুলো খাবেন। এতে ইউরিক এসিডের ব্যথা সহজেই কমবে। কী সেসব ফল, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কমলালেবু
ইউরিক এসিডের ব্যথা কমাতে আপনি অবশ্যই প্রতিদিন কমলালেবু খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা আপনার শরীর থেকে ইউরিক এসিডের মাত্রাকে কমাতে পারে। তবে অত্যধিক পরিমাণেও খাবেন না। প্রতিদিন খেলে একটি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কমলালেবু না পেলে আপনি শরবতি লেবুও খেতে পারেন।
তরমুজ
গরমকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যায়। আর তরমুজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। আর প্রতিদিন তরমুজ খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমবে। এমনকি শরীর কখনোই ডিহাইড্রেট হবে না। আবার শরীরের পানিশূন্যতাও দূর হবে। তাই গরমকালে অবশ্যই তরমুজ খাবেন।
ডালিম
গরমকালে প্রতিদিন ডালিম খেতে পারেন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি পাওয়া যায় ৷ যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডালিমে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।
আনারস
আনারস খাওয়া খুবই উপকারী। গরমকালে প্রতিদিন আনারস খেতে পারেন। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এতে আপনার ইউরিক এসিড অবশ্যই প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। এতে আপনার হাত পায়ের ব্যথা অনেকটাই কমবে। আপনি যদি অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এই ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
কমেন্ট