আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা
গরমে ফোড়া-ফুসকুড়ির সমস্যা কেন দেখা দেয়
গ্রীষ্মকাল আমাদের জন্য খুবই চ্যালেন্জিং। এই সময়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন পেট থেকে শুরু কর ত্বক—সব ধরনের সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। যতই তাপমাত্রা বাড়ে, ততই ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা, ব্রণ, ফোড়া ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
ছোট-বড় সবার মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়, যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
প্রায় মানুষই এর সঠিক চিকিৎসা জানেন না। আজ আমরা একজন চিকিৎসকের পরামর্শে জানাব, কিভাবে গরমে ফোড়া-ফুসকুড়ি থেকে বাঁচা যায় এবং এর সঠিক চিকিৎসা কী।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম হয়। ঘাম ত্বককে ভিজিয়ে রাখে, আর এতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঘাম ও ময়লার কারণে ত্বকের ছিদ্র (পোরস) বন্ধ হয়ে যায়, যেখান থেকে ইনফেকশন শুরু হয় এবং পরে তা ফোড়া বা ফুসকুড়িতে রূপ নেয়। এই সমস্যা সাধারণত গলা, বগল, উরু, পিঠ ও মুখে বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসকদের মতে, গরমে বাতাসে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা বেশি থাকার ফলে ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া খোলা পোরস বা কাটা-ছেঁড়া অংশ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করে, যা ফোড়ার কারণ হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত বা যাদের একনে বা অ্যালার্জির সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের এই সমস্যা বেশি হয়।
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম থাকলে ফোড়া-ফুসকুড়ি হওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাজা-মসলা খাবার খেলে শরীরের তাপ ও টক্সিন বেড়ে যায়, ফলে ফোড়া-ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর পরিষ্কার না রাখা এবং বারবার অপরিষ্কার জামাকাপড় পরার ফলেও এই সমস্যা বাড়ে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সবার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। দিনে দুই বার স্নান করুন এবং ঘাম হলে শরীর মুছে শুকনো রাখুন।
হালকা, সুতির ও ঢিলা জামাকাপড় পরুন, যাতে ত্বক শ্বাস নিতে পারে। যদি ফোড়া বড় হয়ে যায় বা পুঁজ জমে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক অ্যান্টি-বায়োটিক ক্রিম বা অন্যান্য ওষুধ দিতে পারেন।
বারবার ফোড়া হলে রক্তে সুগার পরীক্ষা ও ইমিউনিটির চেকআপ করানো উচিত। কারণ ফোড়া-ফুসকুড়ি অনেক সময় শরীরের ভেতরের সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।
কমেন্ট