আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও ভালো করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশিদিন থাকবে, তত সমস্যা বাড়বে : ফখরুল
নির্বাচন দিলেই অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দ্রুত নির্বাচন জাতির জন্য জরুরি। কারণ এই ধরনের সরকার যত বেশিদিন ক্ষমতায় থাকবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির মওলানা ভাসানী মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি।
ফখরুল বলেন, এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক, না যাক সেটা ইমমেটেরিয়াল। যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, সংঘাতের মধ্যে যারা জড়িয়ে দিতে চাচ্ছে তারা, তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
কারণ তখন সরকারের ভিতরের জনগণের সমর্থন থাকবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি যৌক্তিক সময়ে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। আর তা না হলে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থেকে যেতে চায়- এমন ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হবে।
এ সময় গত দেড় দশকের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে আন্দোলন করলেও শেষ গোলটা করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা স্ট্রাইকার, বুক পেতে গুলি নিয়েছে তরুণ ভ্যানগার্ডরা। ছাত্রদের সঙ্গে কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো কম কষ্ট করেননি, কিন্তু বুক পেতে দিতে পারেননি। সাঈদ যেভাবে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল সেটাই শেখ হাসিনার পতনের টার্নিং পয়েন্ট।
ফখরুল বলেন, ছাত্ররা অনেক কথা বলছে, বলবে। আমরা হিসেবি। তাই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সংস্কারের কথা বিএনপিও বলেছে। অবশ্যই সংস্কার চাই। সেটা যৌক্তিক সময় হতে হবে। এসব না করতে পারলে সমাজ পরিবর্তন করা যাবে না।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এই সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, এমন কাজ করা যাবে না, যা আমাদের দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।
সচিবালয়ে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কীভাবে সংস্কার করবেন আপনি? কাদের দিয়ে সংস্কার করবেন? এরা সংস্কার করতে দিবে না। বেশির ভাগ আমলা বসে আছে, যারা স্বৈরাচারের দোসর। যারা কোটি কোটি টাকা আয় করেছে, দুর্নীতি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন এমনটা তো আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এগুলো দৃশ্যমান করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটি ক্রান্তিকাল পার করছি। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন, ভাল হয়েছে। অনেকেই আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সকল প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে একটি নির্বাচনের রূপরেখা দিবেন।
তিনি বলেন, আমরা সংস্কার অবশ্যই চাই এবং সংস্কার আমরা করব। আপনারা দয়া করে যেভাবে করলে সুন্দর হয়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেভাবেই এগিয়ে যান। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
কমেন্ট