বাংলাদেশ এখনও আওয়ামী লীগ শাসনামলের দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে: অর্থ উপদেষ্টা
আমরা এই দেশে আর কোন মাইনোরিটি মেজরিটির কথা শুনতে চাই না: জামায়াতে ইসলামির আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এই দেশে আর কোন মাইনোরিটি মেজরিটির কথা শুনতে চাই না। তিনি প্রশ্ন করেন, কিসের মেজরিটি আর মাাইনোরিটি? যারাই বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করবে তারা সকলেই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের গর্বিত নাগরিক। রাষ্ট্রের সংবিধান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছে।
আল্লার সংবিধানও তাদেরকে সমান অধিকার দিয়েছে।
আজ শনিবার (০৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের বিশাল এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামির আমীর ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের আগে দেশে চাদাবাজী দখলদারী ছিল। ফুটপাত থেকে সবকিছু দখল হয়ে গেছিল।
এখন আর দখলদারী নেই। আমাদের সন্তানরা এই জন্যে জীবন দেই নি, যে বাংলাদেশে এখনো চাদাবাজী চলবে। আমরা চাদাবাজি ও দখলদারী মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই এবং আমরাই এটা পারব, কারণ আমরা সেই দল যাদের একজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও চাদাবাজি দখলদারীর অভিযোগ নেই।
জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সেই দল যাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে খুন করা হয়েছে।
কাউকে বিচারের নামে প্রহসন করে দেওয়া হয়েছে ফাসি। আবার কাউকে জেলের ভেতরে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন কোরআনের পাখি দেলওয়ার হোসেন সাইদী।
তিনি বলেন, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সহকর্মীদেরকে হত্যা করা হয়েছে মিথ্যা মামলায় পাতানো এবং সাজানো স্বাক্ষি দিয়ে। এখন মামলার বাদীরা এবং স্বাক্ষীরা বলছেন, যারা আমাদেরকে সেদিন জোর করে এই মামলা দায়ের করিয়েছিল এখন তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব।
এটাই আল্লাহর খেলা।
তিনি বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র্রের প্রথম সংবিধান হচ্ছে মদিনার সনদ। এই মদিনার সনদে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত হচ্ছে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার সংরক্ষেণের সনদ। সেখানে পরিস্কার বলা হয়েছে ধর্মের ভিতিত্তে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিককের অধিকার বিভক্ত করা যাবে না। বাংলাদেশ আমাদের সকলের প্রিয় জন্মভুমি। এই দেশের সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষ আমাদের জনসংখ্যা। আমরা আমাদের দেশের এই জনসংখাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে চাই।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
কমেন্ট