ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক : ফরেন সার্ভিসে রাজনৈতিক দলের নেতারা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে নেতারা বেলা আড়াইটার পর থেকেই আসতে শুরু করেছেন।
বৈঠকে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা এসেছেন।
জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির ছয়জন এবং জামায়াতের পাঁচজনের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে গত বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এই কমিশনের মেয়াদ হবে ছয় মাস। কমিশন নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশ করবে।
কমেন্ট