গুমের বিরুদ্ধে আইন করায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই : আইন উপদেষ্টা
স্পেন থেকে শতবর্ষী বিশ্বকাপ সরানোর দাবি ভিনিসিয়ুসের
ফুটবল বিশ্বকাপের শতবার্ষিকী হবে ২০৩০ সালে। মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে তাই শতবার্ষিকীর বিশ্বকাপ উরুগুয়েতে হবে। কারণ ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসর বসে লাতিন আমেরিকার মহাদেশের এই দেশে।
অবশ্য শুধু উরুগুয়েতে নয়, ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে আরো ৫ দেশে।
লাতিন আমেরিকার অন্য দুই দেশ আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ের সঙ্গে পর্তুগাল-স্পেন ও মরক্কোও ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের আয়োজক। অর্থাৎ তিন মহাদেশ মিলে ৬ দেশে শতবর্ষী বিশ্বকাপ হবে।
তবে স্পেন থেকে বিশ্বকাপ অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার দাবি রেখেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের থেকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে বর্ণবাদকে সামনে এনেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপের আগে যদি বর্ণবাদ বন্ধ না হয় তাহলে ম্যাচগুলো সরিয়ে নেওয়া উচিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই ম্যাচ খেলতে বর্তমানে ব্রাজিল দলের সঙ্গে ভিনিসিয়ুস। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামার আগে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। তিনি বলেছেন, ‘কারো গায়ের রং নিয়ে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ তা আশা করি স্পেন বুঝতে পারবে।
২০৩০ সালের পূর্বে যদি এসব বন্ধ না হয়, আমি মনে করি বিশ্বকাপের স্থান পরিবর্তন করা উচিত। কারণ কোনো দেশে যদি খেলোয়াড়রা স্বস্তি অনুভব না করে এবং তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলার বিপরীতে বর্ণবাদের শিকার হয় তখন বিষয়টা জটিল হয়ে দাঁড়ায়।’
সামনে বর্ণবাদ বন্ধ হবে বলে বিশ্বাস করেন ভিনিসিয়ুস। ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘বিশ্বাস করি এবং চাই বিষয়টির পরিবর্তন হোক। কারণ স্পেনের অধিকাংশ মানুষ বর্ণবাদী আচরণের সঙ্গে জড়িত নয়।
ছোট একটি গ্রুপের জন্য দেশটির ইমেজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অথচ সেখানে লোকজন সুন্দরভাবে জীবন যাপন করে।’
রিয়ালের হয়ে খেলার সময় বহুবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। তার সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের কারণে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে দেশটির পুলিশ। তবে বর্ণবাদ বন্ধ হয়নি এখনো। তাই তো কিছুদিন আগে ভিনি জানান, যদি সামনে কখনো বর্ণবাদের শিকার হন তাহলে রিয়াল দল মাঠ ছেড়ে উঠে যাবে।
বর্ণবাদ বন্ধে ইতিমধ্যে তিনটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে উয়েফা। প্রথমত, ম্যাচে কেউ যদি বর্ণবাদি আচরণ শুরু করে তাহলে মাইকে ঘোষণা করে তা বন্ধ করা কথা বলা হবে। দ্বিতীয়ত, ঘোষণায় যদি কাজ না হয় তাহলে দুই দলের খেলোয়াড়েরা ১০ মিনিটের জন্য লকার রুমে চলে যাবেন। আর শেষ ধাপ হচ্ছে, বর্ণবাদী আচরণ চালু থাকলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে।
কমেন্ট