বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভারত অযাচিত উদ্বেগ প্রকাশ করছে, এই দ্বিচারিতা নিন্দনীয়: আইন উপদেষ্টা
ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠলে বদলে যেতে পারে ভেন্যু
আগামী বছর পাকিস্তানে বসবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। আট দলের টুর্নামেন্টে ১৫ ম্যাচের জন্য ইতোমধ্যে ভেন্যুও নির্ধারণ করে ফেলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। লাহোরে ৯ মার্চ ফাইনাল হওয়ার কথা। তবে ভারত ফাইনালে উঠলে পাল্টে যেতে পারে ভেন্যু।
লাহোর থেকে দুবাইতে স্থানান্তর হতে পারে ফাইনাল।
বিসিসিআই পাকিস্তান সফরের বিষয়ে এখনো সবুজ সংকেত দেয়নি। আইসিসি এমন পরিস্থিতিতে ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তনের কথা চিন্তাভাবনা করলেও তাতে বেজায় চটেছেন পিসিবি।
এই সপ্তাহে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মোহসিন নাকভি বলেছিলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী সব দলের অংশগ্রহনে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করব।
ভারতীয় দলের (চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলতে) আসা উচিত।”
এমনকি ভারতের গ্রুপ পর্বের খেলা এবং সেমিফাইনালে উঠলে আবুধাবি, শারজাহকেও বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভাবা হচ্ছে। আবুধাবি, শারজায় ম্যাচ আয়োজন করতে দ্রুত নোটিশের ব্যবস্থা করা হবে। আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেন্যু পরিবর্তনের কথা না বললেও পিসিবি নিজেদের দেশেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
পিসিবির এক মুখপাত্র বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল পাকিস্তান থেকে সরবে-এমন প্রতিবেদনের সত্যি কোনো ভিত্তি নেই। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে সব রকম নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী যে পাকিস্তানে স্মরণীয় এক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব।’
২০২৮ সালের পর থেকে ভারত দল পাকিস্তান সফর করেনি। ২০১২-১৩ সালের পর থেকে বন্ধ দ্বিপাক্ষিক সিরিজও।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বলে আসছে, ভারত ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর রাজনৈতিক বিষয়। এর আগে ২০২৩ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে পুরোপুরি আয়োজনের কথা থাকলেও হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা দুই দেশ মিলে হয়েছে। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছে শ্রীলঙ্কার মাঠে।
১৯৯৬ সাল থেকে শুরু হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সবশেষ আয়োজিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। লন্ডনের ওভালে সেই ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল পাকিস্তান।
কমেন্ট