ভারতের প্রস্তাবে রাজি না হলে আয়োজক স্বত্ব হারাতে পারে পাকিস্তান

ভারতের প্রস্তাবে রাজি না হলে আয়োজক স্বত্ব হারাতে পারে পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মাঠে গড়ানোর তিন মাস সময়ও বাকি নেই। তবে তার আগেই উত্তাপ ছাড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। জমে উঠেছে ভারত-পাকিস্তানের চিরচেনা দ্বন্দ্ব। যার সমাধান কিছুতেই দিতে পারছে না বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। পাকিস্তানের যৌক্তিক দাবি ও ভারতের প্রভাব বিস্তারে একরকম অসহায় আইসিসি। নীরব দর্শকদের ভূমিকায় থেকে দুই-দেশের সমঝোতার অপেক্ষা আইসিসির।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর সামনে রেখে ট্রফি ভ্রমণ শুরু হয়েছে এরইমধ্যে। তবে আসর শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়াবে কিনা সেই নিশ্চয়তা এখনও মিলছে না। টুর্নামেন্টের তিন মাস না থাকলেও এখনও সূচি চূড়ান্ত করতে পারেনি আইসিসি। পরিস্থিতি এমন যে আয়োজক পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এই শঙ্কা কাটাতে ভিডিও কনফারেন্সে জরুরি বোর্ড সভা ডেকেছে আইসিসি। সেই সভা হতে পারে আগামী ২৬ নভেম্বর। যেখানে অংশ নেবে ভারত-পাকিস্তানসহ আইসিসির সদস্য ও সহযোগী দেশগুলো। আইসিসির এবারের বৈঠকের মূল এজেন্ডা হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হাইব্রিড মডেল।

কেননা, ভারত জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানে যাবে না তারা। তাদের দাবি, হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করে নিজেদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলা। যা আবার হতে দিতে চায় না পাকিস্তান। নিজেদের মাটিতে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় তারা। কেননা, ১৯৯৭ সালের পর এবারই কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছে তারা। শুধু তাই নয় টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ১৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বিনিয়োগ করেছে দেশটি। এখন টুর্নামেন্ট সরে গেলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। যে কারণে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল পাকিস্তান।


তবে ভারতকে ছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজনের পক্ষে নয় আইসিসি। কেননা, এতে করে টুর্নামেন্টে লাভের সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। যে কারণে ভারতের দাবি মেনে হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করতে চায় আইসিসি। আর এর জন্য প্রয়োজনে পাকিস্তানের বিনিয়োগের পুরো টাকাও দিতে রাজি তারা। তবে সেটি যদি হয়ও তাহলেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে আইসিসিকে।

কেননা, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। তাই এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ভারতের গ্রুপ থেকে বাদ দিতে হবে। যা আবার চায় না টুর্নামেন্টের স্টেকহোল্ডার ও সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কেননা, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে এই গ্যারান্টি পেয়েই টুর্নামেন্টের স্বত্ব কিনেছে তারা। এখন এটি না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। যে কারণে প্রয়োজনে আইসিসির বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়েও নামতে পারে তারা।

এই অবস্থায় পাকিস্তানকেই তাই সমাধান হিসেবে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাবে রাজি হতে হচ্ছে। কেননা, আগামী মাসে আইসিসির নেতৃত্বে বসবেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। আর তিনি ক্ষমতায় বসলে পাকিস্তানের সামনে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই বর্তমান আইসিসির সিদ্ধান্ত মেনে হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করায় হবে যৌক্তিক। নয়তো ভারতের প্রভাবে পাকিস্তান থেকে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টটিই সরে যেতে পারে।

বার্সেলোনার আমন্ত্রণে আবারও বার্সেলোনায় ফিরছেন মেসি! পরবর্তী

বার্সেলোনার আমন্ত্রণে আবারও বার্সেলোনায় ফিরছেন মেসি!

কমেন্ট