জিরোনাকে হারিয়ে নকআউটে লিভারপুল

জিরোনাকে হারিয়ে নকআউটে লিভারপুল

দারুণ ছন্দে ছুটে চলার পথে গত সপ্তাহে পাওয়া হোঁচটের ধাক্কা কাটিয়ে উঠল লিভারপুল। জিরোনার চ্যালেঞ্জ সামলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ষষ্ঠ জয় পেল আর্না স্লটের দল। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করল সরাসরি শেষ ষোলোয় খেলার টিকিট।

স্প্যানিশ ক্লাবটির মাঠে মঙ্গলবার জমজমাট লড়াইটি ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল।


তাদের জয়ের নায়ক মোহামেদ সালাহ, দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান গড়ে দেন।
টানা জয়ের ধারার মাঝে গত বুধবার প্রিমিয়ার লিগে অপ্রত্যাশিতভাবে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মাঠে ৩-৩ ড্র করে লিভারপুল। সেই হতাশা পেছনে ফেলার লড়াইয়ে জিরোনার আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে পড়ে তারা, তবে মনোবল দৃঢ় রেখে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরের ধাপে উঠল ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।

৬ ম্যাচের শতভাগ সাফল্যে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।


প্রতিপক্ষের ওপর শুরুর কয়েক মিনিটে একচেটিয়া চাপ তৈরি করে লিভারপুল। সপ্তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারতো তারা; তবে দারউইন নুনেসের কোনাকুনি শট দৃঢ়তায় রুখে দেন গোলরক্ষক।

প্রথম ১০ মিনিটে নিজেদের সীমানা থেকে সেভাবে বের হতেই পারেনি জিরোনা। লিভারপুলের রক্ষণের দুর্বলতায় তারাই কিনা পরপর দুই মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করে, যদিও নিজেদের ব্যর্থতায় সফল হতে পারেনি তারা।


দ্বাদশ মিনিটে ডালে ব্লিন্ড ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় বল পেয়ে শট নিতেই পারেননি, ওই বল ধরে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো ফ্রান্সেস।

পরের মিনিটে আবারও বড় বিপদে পড়তে পারতো লিভারপুল। কিন্তু এবার সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়ে বক্সের মুখে শট নেওয়ার আগে পিছলে যান ব্রায়ান গিল, এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড উঠে কোনোমতে শট নিলেও চোট কাটিয়ে ফেরা আলিসন সহজেই রুখে দেন।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমে জমে ওঠে দারুণ।

৩৫তম মিনিটে উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড নুনেসের আরেকটি কোনাকুনি শট পা দিয়ে আটকান পাউলো গাস্সানিগা।


দুই মিনিট পর জিরোনার মিডফিল্ডার ইয়াসের আসপ্রিয়ার বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট ঝাঁপিয়ে বাইরে পাঠান আলিসন।
বিরতির পরও একই গতিতে চলমান লড়াইয়ে ৬৪তম মিনিটে ভাঙে ডেডলক। বক্সে লুইস দিয়াস ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সালাহর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টে গোলের 'হাফ সেঞ্চুরি' পূর্ণ হলো মিশরের এই ফরোয়ার্ডের।

এরপর খেলার গতি বেশ কমে যায়। গোল শোধের জন্য জিরোনা মরিয়া হয়ে উঠতে পারেনি। উল্টো ৮৪তম মিনিটে আরেকটি গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করে সফরকারীরা; তবে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের দারুণ ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গাস্সানিগা।

গোল হজমের আগ পর্যন্ত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করা জিরোনা বাকি সময়ে বলতে গেছে কিছুই করতে পারেনি।

সমান ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী জিরোনা ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে ৩০ নম্বরে।

আতালান্তার প্রতিরোধ ভেঙে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয় পরবর্তী

আতালান্তার প্রতিরোধ ভেঙে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

কমেন্ট