টিউলিপ লন্ডনে বেড়ে উঠলেও পারিবারিক জিনের কারণে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন : রিজভী
কোহলিদের লাগাম টানতে ১০ নির্দেশনা বিসিসিআইয়ের
‘শৃঙ্খলা, একতা ও ইতিবাচক পরিবেশ’ নিশ্চিতকল্পে কঠোর হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পারফরম্যান্স নিম্নগামী, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সবশেষ সিরিজহারে হাতছাড়া হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তাই ক্রিকেটারদের তটস্থ করতে শৃঙ্খলা নিয়ে কড়াকড়ি বোর্ডের।
নতুন পদক্ষেপ হিসেবে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে বিসিসিআই। সে নির্দেশিকায় প্রথমেই বলা হয়েছে, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত হতে হবে। উঠতি তারকারা যেন জাতীয় দলে খেলা সিনিয়রদের দেখে শিখতে পারেন সেজন্যই এই নির্দেশনা। তবে যদি কেউ ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াতে চান সেটা অবশ্যই বোর্ডকে আগেই অবহিত করতে হবে।
দলের মধ্যে একতা বাড়াতে ক্রিকেটারদের যেকোনো টুর্নামেন্ট চলাকালে সর্বক্ষণ দলের সঙ্গে থাকতে হবে। ম্যাচ, অনুশীলন এমনকি যাতায়াতের সময়ও সতীর্থদের সঙ্গে থাকতে হবে। তবে যদি কেউ পরিবারের সঙ্গে যাতায়াত করতে চায়, সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে অনুমতি চাইতে হবে।
এর সঙ্গে এখন থেকে যেকোনো সফরের সময় ইচ্ছেমতো যত খুশি জিনিসপত্র বহন করতে পারবেন না চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা। ৩০ দিনের বেশি সফরে গেলে ক্রিকেটাররা পাঁচটি ও এর কম দৈর্ঘ্যের সফর হলে চারটি ব্যাগ নিতে পারবেন। আর এই ব্যাগগুলোর মধ্যে দুটি হবে খেলার সরঞ্জামের কিট ব্যাগ।
ব্যাগের ওজন নিয়েও বিধিনিষেধ রয়েছে। পাঁচ ব্যাগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ওজন হবে ১৫০ কেজি, আর চার ব্যাগের ক্ষেত্রে ১২০ কেজি। সাপোর্ট স্টাফেরা নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮০ কেজির জিনিসপত্র।
এছাড়া এখন থেকে ক্রিকেটাররা কেউ যদি নিজেদের ম্যানেজার, সহকারী, নিরাপত্তারক্ষী বা রাঁধুনিদের সফরসঙ্গী করতে চান, সেক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে।
এখন থেকে দলের নির্ধারিত সব অনুশীলন সেশনে সবাইকে অংশ নিতে হবে। ক্রিকেট সফরের মাঝে বিজ্ঞাপনের কাজ করা যাবে না। তবে বিসিসিআইয়ের কোনো বিজ্ঞাপনী কাজ থাকলে সেটায় অংশ নিতে পারবেন।
বিদেশ সফরে ক্রিকেটের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি নিয়েও কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ৪৫ দিনের বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দু’সপ্তাহের বেশি সময় থাকতে পারবেন না পরিবারের সদস্যরা। ক্রিকেটারদের সঙ্গী এবং সন্তানদের (১৮ বছরের নিচে) একবারের জন্যই আসতে দেওয়া হবে। এলেও দুই সপ্তাহের বেশি থাকতে পারবেন না। এই সময়ের সব খরচ বোর্ড দেবে। যদি কোনো কারণে কেউ বেশি দিন থাকেন, তাহলে সেই খরচ ক্রিকেটারকে দিতে হবে।
এছাড়া পরিবারের কোন সদস্যরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সফর চলাকালে দেখা করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে দেবেন কোচ, অধিনায়ক এবং ম্যানেজার।
এখন বিসিসিআইয়ের সব অনুষ্ঠানে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া ম্যাচ আগে শেষ হয়ে গেলেও ক্রিকেটারদের এখন থেকে দলের সঙ্গেই থাকতে হবে। যত দিন না সফর শেষ হচ্ছে, তত দিন ক্রিকেটারদের দলের সঙ্গ ছাড়া যাবে না।
যদি কোনো ক্রিকেটার বিসিসিআইয়ের এসব নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে আইপিএলসহ বোর্ডের সমস্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া। এমনকি বোর্ডের চুক্তির অর্থ বা ম্যাচ ফি’ও পাবেন না সে ক্রিকেটার।
কমেন্ট