ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে চালু হয়েছে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস, উঠতে হবে টিকিট কেটে
সান্তোসে বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তন; প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ নেইমার
শৈশবের ক্লাব সান্তোসে বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তন পর্ব সেরেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। ফেরাটা সেভাবে স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি তিনি। বুধবার ব্রাজিলিয়ান পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপে বোটাফোগোর বিপক্ষে নিজে গোল পাননি। ১-১ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচটি।
তবে ম্যাচের শুরুটা ভালোভাবেই মনে থাকবে নেইমারের। উরবানো কালদেইরা স্টেডিয়ামে যখন পা রাখলেন, তখন উৎসবে মাতোয়ারা ছিলেন দর্শকরা। সমর্থকদের চোখে ছিল অশ্রু, হাতে জ্বলছিল মোবাইলের আলো—সবকিছুই ছিল নেইমারকে বীরোচিত অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘরের মাঠে ফিরলেন তিনি, তাও নিজের ৩৩তম জন্মদিনে। তবে মাঠের খেলায় খুব বেশি আলো ছড়াতে পারেননি তিনি।
নেইমার ম্যাচটি শুরু করেছিলেন বেঞ্চে বসে। প্রথমার্ধে টিকিনিও সোয়ারেসের পেনাল্টি গোলে সান্তোস এগিয়ে গেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নামেন তিনি। তবে ১৬ মাস পর প্রথমবার মাঠে নেমে প্রত্যাশিত জাদু দেখাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা।
৬৭তম মিনিটে আলেকজান্দ্রে দে জেসুস গোল করে বোটাফোগোকে সমতায় ফেরান। এরপর ৭১তম মিনিটে নেইমারের বিপক্ষে ফাউল করায় ওয়ালিসন লাল কার্ড দেখেন, তবে একজন বেশি নিয়ে খেলেও সান্তোস আর গোলের দেখা পায়নি।
ম্যাচের পর নেইমার তার আবেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনি যখন কিছু ভালোবাসেন, তখন অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন হয়ে যায়। আমি সান্তোসকে অনেক ভালোবাসি। আজ যখন মাঠে নামলাম, তখনকার অনুভূতি সত্যিই বর্ণনাতীত।‘
খেলার কঠিন বাস্তবতা নিয়েও তিনি কথা বলেন, ‘আমি বাবাকে বলেছিলাম, ম্যাচটা সহজ হবে না। প্রতিপক্ষ রক্ষণে শক্ত অবস্থান নেয়, প্রচুর চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। তাদের একটা সুযোগ এসেছিল, আর ওরা সেটাই কাজে লাগিয়েছে। আমার ধৈর্য ধরতে হবে, অনুশীলন করতে হবে।‘
নেইমার সর্বশেষ পিএসজি থেকে সৌদি ক্লাব আল-হিলালে যোগ দিয়েছিলেন। তবে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে তার বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকে মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। দীর্ঘ চোট কাটিয়ে আবারও মাঠে ফেরার জন্য সান্তোসকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজের ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিতে এবং সবচেয়ে প্রিয় কাজ, অর্থাৎ ফুটবল খেলা উপভোগ করতে, আবারও সান্তোসের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা।
কমেন্ট