চার দিনের সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মিরাজের ৫ উইকেটের দিনে জিম্বাবুয়ের ৮২ রানের লিড
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইনিংস শুরুতেই একটা বার্তা পাওয়া গিয়েছিল। সিলেট টেস্টে লিড নিতে যাচ্ছে তারা। ইনিংস শেষেও তাই হয়েছে। ৮২ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের ১৯১ রানের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২৭৩ রানে। লিডটা আরো বড় হতে পারত জিম্বাবুয়ের। তা হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রতিপক্ষের ইনিংসের শেষটা তিনিই টেনেছেন।
এক এক করে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে। টেস্টে ১১তম বারের মতো এই কীর্তি গড়লেন তিনি। ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বর ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে।
শুরুটা অবশ্য নাহিদ রানাই করেছিলেন। যদিও প্রথম উইকেট পেতে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কেননা উদ্বোধনী ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারে ১৮ রান করা কারানকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাহিদ। তার বলে ক্যাচ নিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মমিনুল হক।
জিম্বাবুয়ের অন্য ওপেনার বেনেটকেও পরে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন নাহিদ। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বেনেট। জিম্বাবুয়ের ২১ বছর বয়সী ওপেনার আউট হওয়ার পরের ওভারেই অর্থাৎ, ২২তম ওভারে তৃতীয় বলে নিক ওলেচকে আউট করে জিম্বাবুয়ে হতাশা কাটিয়ে ওঠার আগে আরেকটি ধাক্কা দেন হাসান মাহমুদ। কেননা দলীয় ৮৮ রানেই দুই উইকেট হারায় তারা।
সতীর্থরা ফিরলে ম্যাচের হাল ধরেন শন উইলিয়ামস। অন্য সতীর্থদের নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে নিজে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে বাংলাদেশের রান শোধ দিয়েছেন। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে যখন মিরাজের বলে আউট হলেন তখন জিম্বাবুয়ে ২ রানের লিডও এনে দিয়েছেন তিনি।
মিরাজের সেই শুরু এরপর একে একে আরও চার উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন তিনি। ভিক্টর নিয়ায়ুচিকে আউট করে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। তবে মাঝে ওয়েলসি মাধেভেরে (২৪), নায়াশা মায়াভো (৩৫) ও রিচার্ড এনগারাভা (২৮*) বিশোর্ধ্ব তিন ইনিংস খেলে দলকে এক শ ছুঁই ছুঁই লিড এনে দিয়েছেন।
কমেন্ট