২০০ রানের পুঁজিও পেল না বাংলাদেশ,ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

২০০ রানের পুঁজিও পেল না বাংলাদেশ,ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা ছিল ১১২ রানের লিড নিয়ে, হাতে উইকেট ছিল আরও ৬টি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৩ বলে ৬০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন, ওপাশে ৬০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত আছেন জাকের আলী অনিক। এমন পরিস্থিতি থেকে যে কোনো দলই চাইত পুঁজিটাকে নিদেনপক্ষে ২৫০ এর ওপরে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশও তাই চাইছিল।

তবে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ছিল পুরোপুরি উল্টো। ব্লেসিং মুজারাবানি গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে ২০০ রানের পুঁজিও নিতে দিতে চায় না জিম্বাবুয়ে। শেষমেশ সফরকারীরাই কথা রেখেছে। বাংলাদেশকে ২০০ রানের লিড নিতে দেয়নি। দল অলআউট হয়েছে ২৫৫ রানে, তাতে মোটে ১৭৩ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস শেষ করেছে স্বাগতিকরা।

বৃষ্টির কারণে সকালে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হতে পারেনি। শুরু হয়েছে সকাল ১১টায়। তবে এরপর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতিটা ক্রমে খারাপই হতে শুরু করে।

দিনের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানি ‘কার্স’ হয়ে এসেছেন বাংলাদেশের জন্য। ৬০ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত আর কোনো রানই যোগ করতে পারেননি নিজের খাতায়। শিকার বনে যান মুজারাবানির। 

তাতে শান্তরও দোষ আছে বৈকি! অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট পিচ বলটা পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। সেটা লিডিং এজ হয়ে উঠে যায় ওপরে। ফাইন লেগে থাকা ভিক্টর নিয়াউচির হাতে গিয়ে জমা পড়ে বলটা।

উইকেটে শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মুজারাবানির গতির কাছে পরাস্ত হয়ে তিনি ক্যাচ দেন গালিতে থাকা ব্রায়ান বেনেটের হাতে। আউট হন ১৫ বলে ১১ রান করে। মুজারাবানি তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফাইফার।

এর এক ওভার পর তাইজুল আউট হন রিচার্ড এনগারাভার শিকার হয়ে। তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা মায়াভোর হাতে। ফলে দিনের শুরুর ৬ ওভারে তিন উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।

এরপর হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে জাকের জুটি গড়েছিলেন। যদিও জাকেরের অ্যাপ্রোচ নিয়ে কথা উঠতেই পারে। ওভারের তৃতীয়-চতুর্থ বলে নির্দ্বিধায় স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন টেল এন্ডার হাসানকে। ৫০ এরও বেশি বল খেলে সে আস্থার প্রতিদান অবশ্য দিয়েছেন হাসান, কিন্তু যেভাবে তিনি আউট হয়েছেন শেষে, তা তার সঙ্গী ‘শেষ স্বীকৃত ব্যাটার’ জাকেরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতেই পারে। 

৯১ বলে ৩৫ রানের জুটিটা শেষ হয় অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে হাসান মিড অফে ক্যাচ দিলে। এরপর আরেকটু হলে সে ওভারেই ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ইনিংস শেষ করে দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের। খালেদ আহমেদকে পরের বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। হ্যাটট্রিকটা হয়ে গেলে সে ওভারে শেষ হতো বাংলাদেশের ইনিংস। তবে নাহিদ রানা শেষ বলটা ঠেকিয়ে তা হতে দেননি।

তাতে বাংলাদেশের লাভ হয়েছে মোটে ৭ রানই। জাকের আলী রিচার্ড এনগারাভার পরের ওভারে এক ছক্কাসমেত আনেন ৭ রান, তবে সে ওভারেও তৃতীয় বলে তিনি স্ট্রাইক ফেরত দেন টেল এন্ডার নাহিদকে। যদিও নাহিদ তার কাজটা ভালোভাবেই সেরেছেন, সে ওভারটা শেষ করেছেন কোনোরকম বিপদ ছাড়াই। 

এরপর আক্রমণে আসেন মুজারাবানি। তার শিকার বনে যান জাকের। ৫৮ রানের ইনিংসটা তার শেষ হয় কাউ কর্নারে নিক ওয়েলশের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ১৭৩ রানের লিড নিয়ে। 

উইজডেনের বর্ষসেরা বুমরাহ-মান্ধানা পরবর্তী

উইজডেনের বর্ষসেরা বুমরাহ-মান্ধানা

কমেন্ট