২৪ ঘণ্টায় হতে পারে লেবাননে যুদ্ধবিরতি
লেবাননে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন লেবানন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার চুক্তির পরিকল্পনাটি ‘নীতিগতভাবে’ অনুমোদন দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। সিএনএন।
নেতানিয়াহুর মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন যে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ভোট দেবে। আশা করা হচ্ছে চুক্তিটি পাশ হবে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পর্কে জানে, এমন সূত্রগুলো বলেছে, এখন পর্যন্ত আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে তারা এ-ও স্বীকার করেছেন যে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ প্রতিনিয়ত একে অপরের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সামান্য ভুলে আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একজন লেবানিজ কর্মকর্তা বলেছিলেন ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
এদিকে লেবাননে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে পারে এমন খবরে ইসরাইলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির চুক্তিটিকে একটি ‘বড় ভুল’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘এখনই হিজবুল্লাহরকে নির্মূল করার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল এবং ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব। এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে সোমবার ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহ সম্পর্কিত প্রায় ২৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। হামলার এলাকাগুলোর মধ্যে নাবাতিয়া, বালবেক, বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ বৈরুত ও তার আশপাশের এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। হামলার পর অঞ্চলজুড়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি শত্রুদের হামলায়’ দক্ষিণ, পূর্ব এবং বৈরুতের নিকটবর্তী বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে মানুষ হতাহত হয়েছেন।
কমেন্ট