বাংলাদেশে অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের বিরুদ্ধে ৩১ জানুয়ারির পর ব্যবস্থা
বড়দিনে ইউক্রেন-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশে ৯ জন নিহত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার রাশিয়ার ‘অমানবিক’ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বড়দিনে রাশিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর ১৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং এতে চারজন নিহত হয়েছে। রাশিয়াও এদিন হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
দেশটিতে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৫টায় বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
এর কিছুক্ষণ পরই ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর থেকে কালিব্র ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এটি ছিল এ বছরের মধ্যে ইউক্রেনের বিদ্যুৎব্যবস্থার ওপর রাশিয়ার ত্রয়োদশ বড় আকারের হামলা, যা শীতকালে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটানোর প্রচেষ্টার অংশ।
জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন ইচ্ছাকৃতভাবে বড়দিনকে আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছেন। এর চেয়ে বেশি অমানবিক আর কী হতে পারে? ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে এবং শতাধিক আক্রমণ ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে।
লক্ষ্য আমাদের বিদ্যুৎব্যবস্থা ধ্বংস করা।’
স্থানীয় কর্মকর্তা ও ইউক্রেনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সাসপিলনের মতে, দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও খারকিভ এলাকায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের হামলা ও একটি পড়ে যাওয়া ড্রোনের কারণে তাদের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ও ককেশাসের নর্থ ওসেটিয়ায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ৭৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৫৮টি এবং বেশ কয়েকটি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে।
তবে তারা রাশিয়ার ছোড়া দুটি কোরিয়ান কেএন-২৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারেনি।
কিয়েভ আরো জানায়, রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র মলডোভা ও রুমানিয়ার আকাশসীমা অতিক্রম করেছে। তবে রুমানিয়া জানায়, তারা এমন কোনো লঙ্ঘন শনাক্ত করেনি।
জেলেনস্কি বলেন, দুঃখজনকভাবে, কিছু জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। বর্তমানে কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কম্পানি ডিটিইকে জানায়, হামলায় তাদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বড়দিনের হামলায় ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভও লক্ষ্যবস্তু ছিল। শহরটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। শহরের মেয়র ইগর তেরেখভ জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো খারকিভের বয়লার হাউস, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, যার ফলে পাঁচ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া খারকিভের আঞ্চলিক প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ রুশ হামলার হুমকির কারণে বড়দিনে লোকজনকে বাড়ির ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘বড়দিন নষ্ট করতে পারবে না’
খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেহুবভ জানান, কর্তৃপক্ষ বোরিভস্কে ও কুপিয়ানস্ক এলাকা থেকে ৪৬ জনকে সরিয়ে নিয়েছে। মস্কোর বাহিনী কুপিয়ানস্ক ফের দখল করার চেষ্টা করছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনী অঞ্চলটির বৃহৎ অংশ দখল করেছিল।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যারা দেশের জন্য কাজ করছেন, যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালন করছেন ও আমাদের আকাশ রক্ষা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। রুশ দুষ্ট শক্তি ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে পারবে না এবং বড়দিন নষ্ট করতে পারবে না।’
কমেন্ট