ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নে ‘কাছাকাছি অবস্থানে’ হামাস

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নে ‘কাছাকাছি অবস্থানে’ হামাস

ইসরাইলের সঙ্গে কিছু অমীমাংসিত বিষয় পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরােধ আন্দোলন হামাস। হামাস সূত্র কাতারি সংবাদপত্র আল-আরাবি আল-জাদিদকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে হামাসের শর্ত, এর জন্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হতে হবে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল। 

সূত্রটি জানায়, মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের এই নতুন বার্তা ইসরাইলের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করেছেন।  যুদ্ধ শেষ করতে চলছে নিবিড় কূটনীতি, পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব চালাচালি। চুক্তিতে সব পক্ষই নিজেকে বিজয়ী দেখাতে চাইছে। চাইছে বেশি লাভবান হতে।  

এছাড়া কায়রো ইসরাইলি বাহিনীকে গাজা-মিশর সীমান্তের ফিলাডেলফি রুট থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে নমনীয়তা দেখিয়েছে। যা পরবর্তী পর্যায়ে সম্পন্ন হবে।

মিশর-গাজা সীমান্ত ১২ কিলোমিটার। এখানে মিশর-ইসরাইল সীমান্তের আরও ২ কিলোমিটার ভূখণ্ড নিয়ে একটি বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে, যা ফিলাডেলফি করিডোর হিসেবে পরিচিত।

ফিলাডেলফি করিডোরটি তৈরির উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল, গাজার স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অন্যভাবে বললে, ইসরাইলের অনুমতি ছাড়া গাজায় যাতে কোনো কিছু ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করাই ছিল ফিলাডেলফি করিডোর তৈরির মূল উদ্দেশ্য।

গাজার দক্ষিণের ফিলাডেলফি করিডোর ফের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে ইসরাইল। পাশাপাশি উত্তরেও একই ধরনের একটি নতুন বাফার জোন সৃষ্টির পরিকল্পনা চলছে। হামাস এতে রাজি হবে কি না তা এখন পরিষ্কার নয়।

এছাড়া সূত্রের দাবি, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে’ রয়েছে হামাস ও ইসরাইল। 

হামাস এবং মধ্যস্থতাকারীরা আশা করছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইল তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেবে। 

তবে ইসরাইল অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে, তারা এমন কোনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না যা তাদের যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে বাধা দিবে, কারণ তিন পর্বের চুক্তির অধীনে যুদ্ধের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে পুড়ছে বাড়িঘর, লুটতরাজ ঠেকাতে কারফিউ পরবর্তী

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে পুড়ছে বাড়িঘর, লুটতরাজ ঠেকাতে কারফিউ

কমেন্ট