সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার
হামাস চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করতে চাচ্ছে : নেতানিয়াহু
যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাস প্রাণঘাতি লড়াই শেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। আগামী রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাস চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করতে চাচ্ছে। বর্তমানে এই চুক্তি ইসরাইলি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তির চুক্তির ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নেতানিয়াহুর এই বিবৃতি আসে।
নেতানিয়াহু বলেন, হামাস চুক্তির একটি অংশ নিয়ে আপত্তি তুলেছে, যার মধ্যে ইসরাইলকে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির ব্যাপারে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
নেতানিয়াহুর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে– একটি নির্দিষ্ট ধারা যা ইসরাইলকে গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের মুক্তির উপর ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা দেয়, সেটির বিপরীতে হামাস এই সন্ত্রাসীদের পরিচয় নির্ধারণে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নেতানিয়াহু ইসরাইলি আলোচক দলকে পূর্বের চুক্তির শর্তে অটল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন’।
তবে হামাস এখনও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
যে কোনো চুক্তি ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এবং পরে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। কিন্তু তার আগে হামাসের প্রতি পাল্টা অভিযোগ চুক্তি নিয়ে ঝুঁকি তৈরি করছে।
এদিকে গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চুক্তি ঘোষণার পর থেকে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকালে ইসরাইলি হামলা অব্যাহত ছিল। এসব হামলায় রাফাহ (দক্ষিণ গাজা), নুসেইরাত (মধ্য গাজা) এবং উত্তর গাজার কিছু বাড়ি মাটির সাথে মিশে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি আগ্রাসনেএখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দিষ্টভাবে হামাস যোদ্ধা এবং বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য না করলেও, তারা জানিয়েছে নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরাইলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১,২০০ ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা এবং ২৫০ জনকে অপহরণ করে। এখনও পর্যন্ত গাজার ১০০ জন আটক জিম্মির মধ্যে এক তৃতীয়াংশের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতির আরও অবনতির ইঙ্গিত দেয়।
ইসরাইলের নিরলস হামলার ফলে গাজার লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম করছেন, যার ফলে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়ে উঠেছে।
কমেন্ট