বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন ট্রাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন ট্রাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) যুক্তরাষ্ট্রের আবার যোগদানের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি থেকে বের হয়ে আসার নির্বাহী আদেশ জারির মাত্র কয়েকদিন পর এ কথা বললেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওযার পরই এক নির্বাহী আদেশে ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। করোনা মহামারি এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত আরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট সামাল দিতে ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগ তুলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিজ দেশকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তবে, স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) লাস ভেগাসে এক সমাবেশে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘হয়তো আমরা এটা আবারও বিবেচনা করে দেখতে পারি। আমি আসলে জানি না। হয়তো আমরা করব। তবে তাদের এটা স্বচ্ছ করতে হবে। ’

ট্রাম্পের নির্দেশনা বহাল থাকলে ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক চুকে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

ডব্লিউএইচও থেকে কোনও সদস্যকে বেরিয়ে যেতে হলে জাতিসংঘকে এক বছর আগে নোটিশ দিতে হয়। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটিকে নোটিশ দিয়েছে।  

জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহার ইস্যুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পেয়েছি। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে। ’

করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বরাবরই ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প। মহামারির সময় ২০২০ সালের জুলাইয়ে তিনি সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। 

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে ডব্লিউএইচও প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর একটি মূল অংশ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট তহবিলের ১৮ শতাংশ যোগান দেয় ওয়াশিংটন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ‘খালি করে ফেলার’ পরিকল্পনা ট্রাম্পের পরবর্তী

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ‘খালি করে ফেলার’ পরিকল্পনা ট্রাম্পের

কমেন্ট