‘২৪ ঘণ্টায়’ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাল যুক্তরাষ্ট্র-কলম্বিয়া

‘২৪ ঘণ্টায়’ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাল যুক্তরাষ্ট্র-কলম্বিয়া

কলম্বিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই নির্বাসিত অভিবাসীদের গ্রহণ করতে রাজি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। 

এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর বিবিসির। 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাসিত অভিবাসীদের বহনকারী দুটি মার্কিন সামরিক বিমানকে তার দেশে অবতরণে বাধা দেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করবেন না। অভিবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে দিতে হবে।’

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর ‘অবিলম্বে’ অতিরিক্ত শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

শুধু তাই নয়, কলম্বিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলেও হুমকি দেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের তাৎক্ষণিক ভিসাও বাতিল করা হবে।

ট্রাম্পের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপ করবেন। 

পাল্টা-পাল্টি এসব হুমকির পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, কলম্বিয়া কোনও ‘সীমাবদ্ধতা বা বিলম্ব ছাড়াই’ মার্কিন সামরিক বিমানে আগত অভিবাসীদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। কলম্বিয়া বলেছে, ‘আমাদের নাগরিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য’ একটি সংলাপ করা হবে। 

রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রনেতার পাল্টা-পাল্টি হুমকির পর হোয়াইট হাউস কলম্বিয়ার সঙ্গে চুক্তিটিকে ট্রাম্পের কট্টরপন্থি 

মনোভাবের ‘বিজয়’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।

কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, পেট্রো ট্রাম্পের ‘নিষেধাজ্ঞা’র নিন্দা জানিয়ে এক্সে পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠেছে’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন ট্রাম্প পরবর্তী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন ট্রাম্প

কমেন্ট