মালয়েশিয়ায় অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতার

মালয়েশিয়ায় অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতার

মালয়েশিয়ায় বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের ৪৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেফতার ৪৬ জনই অভিবাসী। এর মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছে। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানা যায়নি।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরের কুচাই লামার ১৭টি বিলাসবহুল আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দেশের ৪৬ নাগরিককে গ্রেফতার করে। এ সময় বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত একটি অনলাইন জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের মুখোশ উন্মোচন করে জেআইএম।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জেআইএম-এর উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা বলেন, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযানে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, লাওস এবং থাইল্যান্ডের ৪৬ নগরিককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অভিবাসীদের বয়স ২৩ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

জেআইএম বলছে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পাওয়া জনসাধারণের এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে দেখা গেছে, একটি সিন্ডিকেট স্থানটি ভাড়া নিয়েছিল কল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সোনা, সম্পত্তি, বিলাসবহুল জাহাজ, স্টক বিনিয়োগ এবং বিদেশী মুদ্রা কেনার প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করা হতো। তারা কেবল স্থানীয়দেরই লক্ষ্য করছে না বরং বিদেশের, বিশেষ করে তাদের নিজস্ব দেশ থেকে আসা গ্রাহক বা ভুক্তভোগীদের কাছেও পৌঁছাচ্ছে।

জাফরি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় তিন মাস ধরে এই সিন্ডিকেটটি কাজ করছে। তারা ফেসবুক, টিকটক, উইচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের খুঁজে বের করে।

জেআইএম-এর উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা জানান, প্রতারক চক্রটি প্রতিদিন আনুমানিক ১ লাখ রিঙ্গিত থেকে দেড় লাখ রিঙ্গিত আয় করত। যেখানে চক্রের সদস্যরা প্রতি মাসে প্রায় ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ রিঙ্গিত মজুরি পেত।

জাফরি বলেন, অভিযানের সময় তার দল দুটি সার্ভার র্যাক, চারটি ল্যাপটপ, ৮৮টি মোবাইল ফোন, তিনটি রাউটার, চারটি মডেম, ২৬টি সিম কার্ড এবং নগদ ১,০০,০০০ রিঙ্গিত সহ বেশ কয়েকটি সরঞ্জাম জব্দ করেছে।

অভিযানে গ্রেফতারকৃত সকল বিদেশীকে বৈধ পাস ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবেশ, পাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অবস্থান করা এবং সামাজিক পরিদর্শন পাসের শর্ত লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন অপরাধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫১(৫)(খ) ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে।

‘ট্রাম্প খুব হতাশ, জেলেনস্কিকে অবশ্যই খনিজ সম্পদের চুক্তি করতে হবে’ পরবর্তী

‘ট্রাম্প খুব হতাশ, জেলেনস্কিকে অবশ্যই খনিজ সম্পদের চুক্তি করতে হবে’

কমেন্ট