জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিবেদন জেনেভায় উপস্থাপন
‘ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না‘
সৌদি আরব ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার লঙ্ঘনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি আরব লীগ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজার জন্য প্রস্তাবিত বিতর্কিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোর পদক্ষেপ নির্ধারণের লক্ষ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রিন্স ফয়সাল বলেন, সৌদি আরব ইসরাইলের বসতি স্থাপন এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে। তিনি গাজা উপত্যকায় টেকসই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি ও জাতিসংঘের রেজুলেশন কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানায়।
গাজা পুনর্গঠন অবশ্যই সেখানকার জনগণের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেওয়া নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার উদ্যোগকে সৌদি আরব সমর্থন করে বলেও জানান তিনি।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণ যে নজিরবিহীন দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার, গাজা পুনর্গঠনের এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায়।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সম্মেলন যুদ্ধের বিধ্বংসী প্রভাব কমানোর, ফিলিস্তিনে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কার্যকর ফলাফল বয়ে আনবে।
সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার ইসরাইলি সিদ্ধান্ত এবং ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত সীমান্ত বন্ধ করার পদক্ষেপের নিন্দা জানানো হয়।
ঘোষণায় মিশরের গাজা-সংক্রান্ত পরিকল্পনাকে পূর্ণ সমন্বয়ে অনুমোদন করা হয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত ও পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করতে একটি ন্যায়সঙ্গত ও ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
কমেন্ট