বিশ্বের ৪১টি দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের

বিশ্বের ৪১টি দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের

বিশ্বের ৪১টি দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্র এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ এক মেমোর বরাতে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোনো কোনো গণমাধ্যম ৪৩টি দেশের কথা বলছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সম্ভাব্য এই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া দেশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম গ্রুপে রয়েছে ১০টি দেশ—আফগানিস্তান, ইরান, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন। এই দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকর হলে এসব দেশের নাগরিকরা কোনো প্রকার মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

দ্বিতীয় গ্রুপে রয়েছে ৫টি দেশ— ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার এবং দক্ষিণ সুদান। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে এসব দেশের নাগরিকরা শিক্ষার্থী ও ভ্রমণ ব্যতীত অন্যান্য ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বাদবাকি ২৬টি দেশ রয়েছে তৃতীয় গ্রুপে। এই দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবোডা, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, বেলারুশ, পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব (ডি আর) কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ডমিনিকা, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালাউই, মৌরিতানিয়া, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেইন্ট লুসিয়া, সাও তোম অ্যান্ড প্রিনসিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর এবং ভানুয়াতু।

সরকারি নথি অনুসারে, ২৬টি দেশকে কিছু শর্ত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং সেসব শর্তপূরণের জন্য এসব দেশের সরকারকে ৬০ দিন সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদি এই সময়সীমার মধ্যে সেসব শর্ত পূরণ না হয়, তাহলে এই ২৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর ওপর সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের সময়ে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। সেসব আদেশের মধ্যে যেসব বিদেশি প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন, তাদেরকে সার্বিক রেকর্ড ভালোভাবে যাচাইয়ের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার প্রমাণ পেয়েছেন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা পরবর্তী

গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার প্রমাণ পেয়েছেন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা

কমেন্ট