জিম্মি মুক্তি নিয়ে আরও আলোচনার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

জিম্মি মুক্তি নিয়ে আরও আলোচনার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

ইসরাইলের জিম্মি-বিষয়ক আলোচনাকারী দলকে আরও আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি এ নির্দেশ দেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের ১১ জন জীবিত জিম্মি মুক্তির প্রস্তাবেই আলোচনার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু। 

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল। 

নেতানিয়াহুর আহ্বানে শীর্ষ সহযোগী এবং নিরাপত্তা প্রধানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের শেষে এই নির্দেশ জারি করা হয়।  বৈঠকে কাতারে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দল আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করছিলেন। দলটি শুক্রবার দোহা থেকে ফিরে আসে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতে, উইটকফের প্রস্তাবে ১১ জন জীবিত জিম্মি এবং নিহত বন্দীদের অর্ধেককে ‘অবিলম্বে’ মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

বুধবার দোহায় মার্কিন দূত প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন এবং শুক্রবার এর কিছু অংশ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন তাতে ইসরাইল বলেছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পাসওভার ছুটির শেষ পর্যন্ত বর্ধিত যুদ্ধবিরতির শুরুতে জীবিত জিম্মিদের অর্ধেক মুক্তি দিতে হবে। আর বাকি জিম্মিদেরও এই ধাপের শেষের দিকে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানো এবং আরও ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে শেষ জীবিত ইসরাইলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার এবং ইসরাইলি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিকত্বধারী আরও চারজন - ইতাই চেন, ওমর নিউট্রা, গাদি হাগাই এবং জুডি ওয়েইনস্টাইন - এর মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।  ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র-উভয়ই হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।  উইটকফ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটি একটি ‘ছলনাপূর্ণ’ প্রস্তাব।

এদিকে জেরুজালেমের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, হামাসের সঙ্গে শীঘ্রই কোনও চুক্তি না হলে আইডিএফ গাজায় তীব্র সামরিক অভিযান ফের শুরু করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পরবর্তী

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে

কমেন্ট