এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো পরে তুরস্কে তীব্র বিক্ষোভ

এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো পরে তুরস্কে তীব্র বিক্ষোভ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো পরে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।


গতকাল রোববার (২৩ মার্চ) তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হলে দেশজুড়ে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখা যায়। পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটের মধ্যেও হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। খবর বিবিসির। 

ইমামোগলু অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, ‘আমি কখনোই মাথা নত করব না।’


ইস্তানবুলের সিটি হলে হাজারো মানুষ তুর্কি পতাকা হাতে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে।

ইমামোগলুর স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোগলু সিটি হলের বাইরে জমায়েত হওয়া জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘এই অবিচার আমাদের সকলের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।’

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ৫৫টিতেই বিক্ষোভ হয়েছে।

ইমামোগলু ছাড়াও প্রায় ১০০ জন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। রোববার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অপরাধী সংগঠন গঠন ও পরিচালনা, ঘুষ গ্রহণ, ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধভাবে সংরক্ষণ এবং সরকারি দরপত্র কারসাজির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।


তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইমামোগলুকে তার মেয়রের পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

ইমামোগলুর দল সিএইচপি (রিপাবলিকান পিপলস পার্টি) জানিয়েছে, রোববার প্রায় দেড় কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয় তার ডিগ্রি বাতিল করেছে, যা তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

 

এবার গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও হত্যা করল ইসরায়েল পরবর্তী

এবার গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও হত্যা করল ইসরায়েল

কমেন্ট