আফগানিস্তানে তালেবানকে অর্থ প্রবাহ বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল অনুমোদন

আফগানিস্তানে তালেবানকে অর্থ প্রবাহ বন্ধে মার্কিন কংগ্রেসে বিল অনুমোদন

তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকারকে অর্থ সরবরাহ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি একটি বিল অনুমোদন করেছে। বিলটি তালেবানের হাতে মার্কিন করদাতাদের অর্থ যাতে না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দেবে।

বিলটি উত্থাপন করেছেন কংগ্রেস সদস্য টিম বারচেট। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে কাবুলে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পাঠিয়েছে। এই অর্থ কর আদায় ও চুরি করে তালেবান ভোগ করছে, অথচ আমরা এখনও অর্থ পাঠিয়ে চলেছি। এটা বন্ধ হওয়া জরুরি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অর্থ কিংবা উপকরণ যেন তালেবানের হাতে না পড়ে, সেটি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সাহায্য ও আফগান ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তালেবানের প্রভাব সম্পর্কেও আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।’

হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ব্রায়ান ম্যাস্ট বলেন, ‘এই বিলের মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে একটি কৌশল তৈরি ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যাতে অন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো তালেবানকে আর্থিক বা উপাদানগত সহায়তা না দেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তালেবানের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এমনকি কাবুলে আমাদের দূতাবাসও নেই।’

ম্যাস্ট বলেন, ‘আমরা চাই না কোনোভাবেই আমেরিকান ট্যাক্সদাতাদের অর্থ তালেবানের হাতে পৌঁছাক।’

২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানে অর্থপ্রবাহ নিয়ে রিপাবলিকানরা ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। জানা গেছে, তালেবান-নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলারের নগদ অর্থ পাঠানো হতো।  

২০২৪ সালের মে মাসে আফগানিস্তান পুনর্গঠন সংক্রান্ত মার্কিন বিশেষ পরিদর্শক সংস্থা (সিগার) জানায়, তালেবানকে কর হিসেবে ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তবে আফগান তালেবান সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  আফগান গণমাধ্যমকে তালেবান সরকারের উপ-মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থের কথা বলছে, তার বেশিরভাগই খরচ হয়েছে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও তাদের সঙ্গে যাওয়া আফগানদের পুনর্বাসনে। এর কিছু অংশ আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবিক সাহায্যের নামে ব্যয় করেছে।’

মার্কিন এই বিল পাশ হলে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রবাহে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ: শুভেন্দু পরবর্তী

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ: শুভেন্দু

কমেন্ট