ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত বেড়ে ৮০

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত বেড়ে ৮০

ইয়েমেনের রাস ঈসা তেল বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই হামলায় আরও ১৭১ জন আহত হয়েছেন। দেশটির সশস্ত্র যোদ্ধা হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, এটি ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় প্রাণঘাতী হামলা।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) হুথি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসাবাহি এসব তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তেল বন্দরটিতে ভয়াবহ হামলা চালায় মার্কিনিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টটম) জানিয়েছে, হুথিরা যেন জ্বালানি না পায় এবং তেল বিক্রি করে কোনো অর্থ আয় না করতে পারে সেটি নিশ্চিতে হামলা চালানো হয়েছে।

আলজাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-আত্তাব ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তেল বন্দরটি ছাড়াও আরও কয়েক জায়গায় হামলা চালিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালানো হয়েছে এখানে।

তিনি বলেন, ‘তেল বন্দরটিতে যখন কর্মীরা কাজ করছিলেন তখন প্রথম চারটি হামলা হয়। এই হামলা সেখানকার কর্মীদের অবাক করেছে। হামলার সময় সেখানে সাধারণ ট্রাক চালকও ছিল।’

তিনি আরও জানান, রাস ঈসা তেল বন্দর ইয়েমেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার রাতের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই সাধারণ বেসামরিক মানুষ। আর এত বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর কারণে পুরো ইয়েমেনজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ইয়েমেনের রপ্তানিকৃত পণ্যের ৭০ শতাংশ এবং ৮০ শতাংশ মানবিক সহায়তা রাস ঈসা, হোদেইদা এবং আস-সালিফ বন্দর দিয়ে আসে।

গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই তিনি ইয়েমেনে ব্যাপক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। মার্চের শুরুতে মাত্র দুইদিনের হামলায় দেশটিতে ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। আর বৃহস্পতিবারের হামলায় প্রাণ হারালেন ৭০ জনের বেশি মানুষ।

হুথি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসের আল-আতিফি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মাসেইরাহ টিভিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব হামলা তাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না। তারা ফিলিস্তিনের গাজাবাসীকে সমর্থন করে যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার পর দখলদার ইসরাইল শুক্রবার সকালে জানায়, ইয়েমেন থেকে তাদের লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছে। পরবর্তীতে তারা জানায় মিসাইলটি ভূপাতিত করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজ লক্ষ্য করে ১০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে, যতক্ষণ জাহাজ লক্ষ্য করে তারা হামলা চালানা বন্ধ না করবে ততদিন তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা : যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে ইরানের ‘সন্দেহ’ পরবর্তী

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা : যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে ইরানের ‘সন্দেহ’

কমেন্ট