কেউ মামলা করতে এলে সেটার সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ পুলিশের নেই: আইজিপি
বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠানো নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল উ. কোরিয়া
১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া এই প্রথম কোনো সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিল। এত দিন কোরিয়া এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গত বছর সেনা পাঠায় তারা।
প্রথমবার স্বীকার
এর আগে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়।
এত দিন কোরিয়া এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা।
দুদিন আগেই রাশিয়া ঘোষণা করে, কুরস্ক অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করেছে। এর দুদিন বাদেই উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ইউক্রেন যদিও রাশিয়ার এই দাবি মানেনি।
সামরিক চুক্তি
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নর্থ কোরিয়া মিলিটারি কমিশানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী তাদের সেনা পাঠান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনের মধ্যে ২০২৪-এ এই সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে দুই দেশের মধ্যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে অপর দেশটি তাকে সামরিক সাহায্য করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এটিকে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।
সোমবার প্রকাশিত কোরিয়ার ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ইউক্রেনের আগ্রাসনকারীদের প্রতিহত করে কুরস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই রাশিয়াকে সাহায্য করেছে কোরিয়ার সেনারা।
কিম বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার এবং মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় যারা লড়েন তারা দেশের হিরো।’ তিনি আরো জানান, শহিদ সেনাদের স্মৃতির উদ্দেশে পিয়ং ইয়ংয়ে সৌধ স্থাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে শহিদদের পরিবারের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
মোট কত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং কত সেনার প্রাণ গেছে সে বিষয়ে উত্তর কোরিয়া কিছু না জানালেও, মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ায় প্রায় চার হাজার উত্তর কোরিয়ান সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
এরপর আরো তিন হাজার সেনা পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছে তারা।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ভালোভাবে প্রশিক্ষিতও এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ হলেও অভিজ্ঞতার অভাবে এবং অপরিচিত অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
কমেন্ট